অষ্টাদশ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে এ এলাকায় স্বর্গীয় বাবু গৌরিবল্লভ সেন নামে এ বিশিষ্ট জোতদার ও সম্মানিত ব্যক্তি বসবাস করতেন। তাঁর সময়ে তাঁর মালিকানাধীন এক পুকুরের পাড়ে সীতা নাম্নী এক ধোপার নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক ধোপা বাস করতেন। যে পুকুরের পাড়ে তারা বসবাস করতেন সেই পুকুরটি এখনো সীতার দীঘি নামে পরিচিতি। কথিত আছে যে, একদিন সীতা নাম্নী ওই ধোপাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। এক/দুই দিন পর ওই পুকুরে তাঁর লাশ ভাসতে দেখা যায়। ইহা একটি ভৌতিক কান্ড মনে করে তার নেতৃত্বাধীন ধোপারা ভয়ে কাউকে না জানিয়ে ওই পুকুরের পাড় তথা এ এলাকা ছেড়ে অজানা স্থানে চলে যান। তখন থেকে এলাকাটি ধোপাউড়া নামে পরিচিত হতে থাকে এবং কালক্রমে ধোবাউড়া নামে একটি গ্রাম ও মৌজা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই গ্রামের নাম ধরেই পরবর্তী সময়ে ধোবাউড়া ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। ধোবাউড়া ইউনিয়নের নামেই ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত থানার নাম রাখা হয় “ধোবাউড়া থানা”। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ধোবাউড়া উপজেলা হিসেবে ঘোষিত হয়। বহু প্রাচীন কাল থেকে গারো উপজাতী এই উপজেলায় বসবাস করে আসছে। দর্শা গ্রামে মোঘল আমলে স্থাপিত একটি মসজিদ আছে যা বর্তমানে প্রায় ধ্বংশপ্রাপ্ত। দর্শা গ্রামে ঐতিহ্যবাহী একটি পাথরকাটা নামক পুকুর রয়েছে যা বহু প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করছে যার আয়তন ৩.৩০ একর। তাছাড়া গামারীতলা ইউনিয়নে লাংগলজোড়া নামক স্থানে ধরমশা দিঘী রয়েছে যার আয়তন ৭.৪০ একর। ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই ধোবাউড়া উপজেলায় এখনও দেখা যায়।
কিছু দর্শনীয়/ঐতিহ্যবাহী স্থান নিম্নরুপ-
১। পুটিমারি মিশন
২। ভালুকাপাড়া মিশন
৩। ছোট ছোট টিলা
৪। চিনমাটির খনি
৫। সীতার দীঘি
৬। ধরমশার দিঘী
৭। পাথরকাটা দীঘি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS